রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইমনের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সাধারণ সম্পাদক সাল-সাবিল আহম্মেদ জিসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল, সাবেক সহ-সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ প্রমুখ।
মিছিল থেকে ইমন হত্যাকারীদের অবিলম্বে আটকের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা ইমনের জানাজা ও দাফনে অংশ নেন।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা ইমন বাড়ির পাশের বেজপাড়া-গুরগোল্লা মোড়ে বন্ধুদের সঙ্গে বসে লুডু খেলা দেখছিলেন। এ সময় দুই-তিনজন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে বুকে দুই রাউন্ড গুলি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রোববার সন্ধ্যা ৭টা) থানায় মামলা হয়নি এবং এ ঘটনায় কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, পরিচ্ছন্ন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন মনোয়ার হোসেন ইমন। সম্প্রতি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, কমিটি হলে ইমন গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশী ছিলেন। তবে জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটিতে ইমন সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ শোনা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
ইউজি/এএ