শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার ফরাজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।
মিজানুর উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার আলম মিয়ার ছেলে। তিনি ছয় নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর এলাকার জাহিদুল, সিরাজ, রহিম, নাজমুল, সুজন, হৃদয়, মনসুরের সঙ্গে একই এলাকার মঞ্জুরুল আলমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে সোমবার প্রতিপক্ষের লোকজনসহ অজ্ঞাত আরো দুই/তিনজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মঞ্জুরুলের মাছের খামারে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন মঞ্জুরুলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে তার চিৎকার শুনে বড় ভাই মিজানুর ও মামাতো ভাই পলাশ এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকেও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।
একপর্যায়ে হামলাকারীরা মাছের খামারের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় তারা পলাশের অফিসিয়াল ব্যাগে থাকা ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন আহতরা।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মিজানুরকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরাজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
আরবি/