শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন শেখ হাসিনা।
বক্তব্যে শুরুতে ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, এখানে দাঁড়িয়ে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান, বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী) আমার সেই দিনটির কথা মনে পড়ে, ডেদিন বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাঙালিকে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি পাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক কমিটির ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এর আগে বেলা ২টা ৩৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন। এসময় সমাবেশস্থলে উপস্থিত লাল-সবুজ জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর পরপরই জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সঞ্চালনায় রয়েছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আবদুল আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী।
সমাবেশে একে একে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও প্রধান বিয়েট্রিস খলদুন।
সকাল থেকে লাল-সবুজ টি-শার্ট ও সাদা-সবুজ টুপি পরে উল্লাস করতে করতে সোহরাওয়ার্দীতে জমতে শুরু করে জনতা। এসময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রকম্পিত করেন।
সমাবেশ উপলক্ষে শাহবাগ, টিএসটি, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট, প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। সমাবেশস্থলে প্রবেশের আগে প্রত্যেককে তল্লাশি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ‘ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টরি হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ উপলক্ষে নাগরিক কমিটির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-বিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এমএ/এইচএ/জেডএস/এসএইচ