শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পুলিশের এসআই রাজু মন্ডল বাদি হয়ে নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কাজের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা করার অপরাধ এনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় গ্রেফতার মওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদসহ ১৩ জনকে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়ে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে শোনানি শেষে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস বলেন, আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
রিমান্ডে নেওয়া জামায়াত নেতাকর্মীরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াত ইসলামের সভাপতি মওলানা মাইনুদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, জামায়াত নেতা সাইফুদ্দিন, সদস্য সাহাবুদ্দিন, বশিরুল হক, এসএম নাসিরউদ্দিন, হাই তালুকদার, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর দেওয়ান, জামালউদ্দিন, কফিলউদ্দিন, জাকির হোসেন, শহিদ, জাকির হোসেন (২)।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, মওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদের হাজীগঞ্জের বাসায় নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কাজ করার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা করার সময় ১৩জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওইসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ইকবাল আহাম্মেদ শ্যামল, কয়েস, সাব্বির, মজিবুর রহমান মিয়াজী, অ্যাড. মাইনুদ্দিন, আবু সাইদ মুন্না, আ. হাই, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, বশির উল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল বাকী ও আব্দুল মালেক সহ অজ্ঞাত ৪/৫জন।
ওসি আরো জানান, মাইনুদ্দিন আহমেদের ওই বাড়িতে শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে ১৩জনকে গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমানের জিহাদী বই, লিফলেট, সদস্য সংগ্রহের ফরম, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যানার জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
বিএস