মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপরের দিকে তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর সাদেকুর রহমান।
এদিকে, কাপ্তাই উপজেলা থেকে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলা যুবদলের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. নুরুল আলম, ওয়াগ্যা ইউনিয়নের শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল আল মাহিয়ান ডালিম, একই ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, কাপ্তাই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মো. হারুন, মো.ফয়েজ আহম্মদ এবং বিএনপির কর্মী মো. রবিউলকে আটক করেছে পুলিশ।
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. নূর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটক নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে, কাউখালী উপজেলা থেকে উপজেলা ছাত্রদল নেতা সুজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে বলে জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দীপন তালুকদার দীপু।
আটক বিএনপির ১৩ নেতার বিরুদ্ধে স্ব-স্ব থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে। পরে আদালত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শুনানির দিন ধার্য করে আটক নেতাকর্মীদের হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়াও বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের চৌমুহনী এলাকা থেকে বাঘাইছড়ি পৌর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, আটক এ ছাত্রদল নেতা গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নাশকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিল। এ সময় তাকে আটক করা হয়।
তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দীপন তালুকদার দীপু বলেন, সোমবার রাত থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। যা একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কাম্য নয়।
এসময় তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ