মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাফিউল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ, পল্টু, মিলন ও শাহিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ মামলার এজাহারে উল্লেখ করে, মঙ্গলবার রাত ১১টায় ফতুল্লার কাশিপুর সম্রাট হল সংলগ্ন বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদের রিকশার গ্যারেজে বসে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক খোরশেদের নেতৃত্বে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন বৈঠক করছিল। এমন সংবাদে ফতুল্লা থানা পুলিশের দুটি টিম অভিযান চালাতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তারা কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে গেলেও দৌঁড়ে চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি ককটেল ও লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় বিএনপির ৪ নেতাকে আটক করা হয়। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নারায়ণগঞ্জে গত কয়েকদিনে ৭ থানার মধ্যে ৬ থানা পুলিশ পৃথকভাবে ৭টি মামলা করেছে। যেখানে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৬০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও অন্তত ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সর্বশেষ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন খান বাদী হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
আরআর