বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার হটানো হবে মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা দেখিয়ে দেবো।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অন্যায়ভাবে কারাবন্দি বলেও অভিযোগ করেন মওদুদ।
বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, ভাঙা-ভাঙির কথা বলেন কেন? বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি। এখন পারবে কীভাবে? এখনতো যুদ্ধের সময়, ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে সত্য শুনতে চাই। এদেশের তরুণরা তার মুখ থেকে সত্য শুনতে চায়। মিথ্যাচার শুনতে চায় না। আপনি আমাদের সমালোচনা করুন। কিন্তু এমনভাবে বক্তব্য দেবেন না যেটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তরুণরা কি শিখছে, কি জানছে।
‘সরকার জানে তাদের জনপ্রিয়তা একবারেই নেই। আগামী নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। এ জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেছে, বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে, মামলা দিচ্ছে, গুম-খুন করছে। ’
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাখা হয়েছে বিরোধীদলকে দমন করার জন্য। তাদের এই একটাই কাজ। তারা হত্যা, ধর্ষণসহ সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অপরাধ দমনে কোনো কাজ করছে না। তাদের এটাই শেখানো হচ্ছে।
‘খালেদা জিয়ার দূরদর্শী নির্দেশনায় আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকার খুশি নয়। সরকার চেয়েছে আমাদের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের উসকানি দেবে। আর তারা সে সুযোগে পেট্রোল পাম্প জ্বালাবে, অগ্নিসংযোগ করবে। আর তার দায় আমাদের উপর চাপাবে। ’
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলে আওয়ামী লীগের নৌকায় ভোট চাওয়া বন্ধ করতো। নইলে আমাদেরও সভা-সমাবেশ, ভোট চাওয়ার সুযোগ দিতো। আমাদের অধিকার আমাদের দিতো। আমাদের এ সুযোগ না দিলে বুঝবো নির্বাচন কমিশন আবারো একদলীয় নির্বাচন করতে চায়। আর আমরা সে সুযোগ দেবো না।
মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমরাও জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
এমইউএম/এএ