শনিবার (৩ মার্চ) ওয়ার্কার্স পার্টির মহাসমাবেশে পার্টির সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সারাদেশ থেকে আসা ওয়ার্কার্স পার্টির হাজার হাজার নেতাকর্মী লাল পতাকা নিয়ে এই সমাবেশে যোগ দেন।
মহাসমাবেশে রাশেদ খান মেনন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে এনেছে। কিন্তু একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বলতে পারি আমরা এখনও অসাম্প্রদায়িক নীতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। দেশে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে। দেশের শিক্ষা কারিকুলাম সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। যে সাম্প্রদায়িক শক্তি শাপলা চত্বরে, বায়তুল মোকাররমে তাণ্ডব চালিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলো আজ সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি কারও কারও বন্ধু হয়ে গেছে।
সমাজক্যাণ মন্ত্রী বলেন, দেশে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে গণতন্ত্র থাকলে উন্নয়ন হয় না। আমি বলতে চাই গণতন্ত্র ও উন্নয়ন পরস্পর বিরোধী নয়। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলবে। এ দুটোকে একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে অগ্রসর হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিদের বেতন বাড়ে। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের বেতন বাড়ানোর দাবি করলে বলা হয় বিদেশি ষড়যন্ত্র। এভাবে চলতে পারে না।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে কঠিন দিন। এ বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ধারা এগিয়ে নিয়ে এসেছি সেটা কি অব্যাহত থাকবে না কি মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির কাছে দেশকে তুলে দেবো এ নির্বাচনের আগে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির সাজায় জেলে গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তার জন্য নির্বাচনে যাবো না এই হুমকি দিয়ে লাভ নেই। এই সরকার বিএনপি-জামায়াতের কলিজায় হাত দিয়েছে। তাই তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন-ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিট ব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, ড. সুশান্ত দাস, কামরুল আহসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৮
এসকে/আরআর