এক বিবৃতিতে জেলা আ’লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, কেশবপুরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এবং ওই ঘটনার পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
শনিবার (২৪ মার্চ) রাতে জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলী বিপুর পাঠানো বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলার পেছনে যেই থাকুক আ’লীগ তাদেরকে ছাড় দেবে না। আর দলীয় কার্যালয়ে ককটেল হামলায় প্রকৃতভাবেই যেসব সন্ত্রাসী জড়িত তাদের রক্ষা হবে না।
এর আগে, গত ২৩ মার্চ রাত ৮ টার দিকে কেশবপুর উপজেলা আ’লীগে কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আ’লীগে পরিবারের সন্তান দু’জন ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় রাতেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমীর হোসেনের ভাতিজা রাসেলকে আটক করে পুলিশ।
মামলার বাদী খন্দকার আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, 'তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ ককটেল হামলা হয়েছে। তবে কেশবপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে আ’লীগের নিবেদিত নেতাকর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। আসামিদের মধ্যে আলাউদ্দিন বাবু ও সোহেল নামে আ’লীগ পরিবারের দুইজন ব্যাংক কর্মকর্তাও রয়েছেন। এদের সবাইকে কেশবপুরবাসী চেনে, ফলে নিরপেক্ষ তদন্তে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৩ ঘণ্টা, ২৫ মার্চ, ২০১৮
ইউজি/আরএম/এসআইএস