সোমবার (২ এপ্রিল) ভোর পৌনে চারটায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, সদরুল হক পিন্টুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
সদরুল হক পিন্টু পাকশি ইউনিয়নের চর-রূপপুর তিনবটতলা গ্রামের আজাদ মালের ছেলে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি-ঈশ্বরদী সার্কেল) জহুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, আহত পিন্টুর কোমড়ে দু’টি গুলি বিদ্ধ হয়। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাপাতির গুরুতর আঘাত ছিল।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। সুরতাহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য রোববার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি ছুড়লে তিন রাউন্ড গুলি পিন্টুর শরীরে বিদ্ধ হয়। এরপর তাকে উপর্যুপরি রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। পরে দ্রুত তাকে ঊদ্ধার করে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম শামিম তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিন্টু মারা যায়।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি বা কাউকে আটক করা হয়নি।
** ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ সভাপতি গুলিবিদ্ধ
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
আরএ