ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নদী ভাঙন রোধে ব্যাপক কাজ করেছে এ সরকার 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৮
নদী ভাঙন রোধে ব্যাপক কাজ করেছে এ সরকার  নদী তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। ছবি: বাংলানিউজ

গাইবান্ধা: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ও দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হওয়ায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।  

শুক্রবার (১ জুন) দুপুরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া গণকবর এলাকায় গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষার জন্য নদী তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন সময়ে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে ফুলছড়িকে রক্ষা করেছেন।

এখন ৩০০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। আগামী অর্থবছরে আরও ৫০০ কোটি টাকার কাজ বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব কাজ বাস্তবায়িত হলে স্থায়ীভাবে গাইবান্ধায় নদী ভাঙন রোধ হবে। পরে ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া ও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসীঘাট এবং বিকেলে সদর উপজেলার বাগুড়িয়া এলাকায় নদী তীর রক্ষার কাজের উদ্বোধন করা হয়।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর শেখ আরিফ মোহাম্মদ, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন রাজীব ত্রিপুরা, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বশির আহম্মেদ, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসেন, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হালিম টলস্টয়, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান ও গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।  

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনরোধ, বালাসি-বাহাদুরাবাদ রুটে ফেরি চলাচলের জন্য নদীতে ড্রেজিং ও জেলাকে বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি মেরামতে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।  

ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এলাকায় ১ হাজার ৩০০ মিটার, রতনপুর-সিংড়িয়া-কাতলামারী এলাকায় ২ হাজার ২০০ মিটার ও গজারিয়ার গণকবর এলাকায় ৭০০ মিটার এবং সদর উপজেলার বাগুড়িয়া এলাকায় ৩০০ মিটার স্থায়ীভাবে (সিসি ব্লক দ্বারা) বাঁধ সংরক্ষণ করা হবে।  

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড কাজ সম্পন্ন করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।