তিনি বলেছেন, অনেকেই বলছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু সংবিধান বলে নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
প্রার্থীদের নিরাপত্তা বিধান সুনিশ্চিতকরণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে এসে ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে যে নির্বাচন হচ্ছে, সেটি দলীয় সরকার না ইসির অধীনে হচ্ছে। সংবিধান বলে নির্বাচন দলীয় সরকার নয়, হতে হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিন্তু অনেকেই বলছেন, এমনকি ইসি কর্মকর্তাদেরও অনেকে বলছেন, নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে আমরা হুমকির মুখে। আমাদের বিএনএফ’র ৫৫ প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই নির্যাতিত, নিগৃহিত, লাঞ্চিত হয়েছে। বুধবারও টাঙ্গাইলে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কর্মীদের হাসপাতালে আহতাবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের দলীয় প্রার্থী ও সমর্থকদের মারধর আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের হাতে হচ্ছে। এসব বিষয় কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের ইঙ্গিত বহন করে না।
আমার ও আমার দলের প্রার্থী-ভোটারদের নিরাপত্তা চেয়েছি। আমরা চাই, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হোক। এই মুহূর্তে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন, তারাও থাকুক। আমরাও নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে চাই। তবে নির্বাচন হতে হবে ইসির অধীনে। সরকারের দায়িত্ব ইসিকে সহযোগিতা করা।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। কর্মী, সমর্থক ও ভোটাররাও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন। এটির কারণ, নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে, ইসির অধীনে নয়। নির্বাচন কমিশনকে আমরা যেভাবে দেখতে চেয়েছিলাম সেভাবে দেখছি না। প্রভাবিত ইসি। রুলিং পার্টির মাধ্যমে ইসি প্রভাবিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/