মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার থমাস ফারেন হোল্টাজের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন অনেক দল আছে যারা কম আসন পেয়েও সংসদকে সরব রাখছে। দল ছোট বা বড় বিষয় নয়। নানা প্রতিকূলতা থাকতেই পারে। দল যত ছোটই হোক সংসদে এসে তাদের গঠনমূলক আলোচনা করতে হবে। শুধু সংসদে কেন সংসদের বাইরেও তারা সমালোচনা করতে পারে।
‘বিএনপি এখনো যদি আগুন সন্ত্রাস করে তাহলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসন আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। তারা যেভাবে জঙ্গি দমন করেছে তারা প্রশংসার দাবি রাখে। কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা নৈরাজ্য মেনে নেওয়া হবে না। ’
বৈঠকের বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এজন্য আমাদের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চত করতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও এ দু’টি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ পুষ্টি জাতীয় নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া। সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ জার্মানির সঙ্গে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রাংশের ব্যবহার বাড়ানো। এ খাতে জার্মান সরকার আমাদের সহযোগিতা করবে। এছাড়া কৃষিখাতে অ্যাগ্রো প্রসেসিং, গবেষণা, প্রশিক্ষণসহ নানা খাতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এবছর আমাদের এক কোটি ১৩ লাখ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ লাখ মেট্রিকটন উদ্বৃত্ত থেকে যায়। তাই আলু প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির দিকে যেতে হবে।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার থমাস ফারেন হোল্টাজ বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের কৃষিখাত অনেক উন্নত হয়েছে। এ সফল ধারা অব্যাহত রাখতে জার্মান সরকার সব ধরনের সহায়তার দেবে। বিশেষ করে কৃষিকে আধুনিকায়ন, এখাতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো, দক্ষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, অ্যাগ্রো প্রসেসিং খাতকে আরো উন্নত করতে সহায়তা করা হবে।
বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বানের পর আমরা তৃতীয় দেশ হিসেবে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আশাকরি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। বাংলাদেশ ভালো করছে, ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
জিসিজি/এএ