বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন মো. আমিনুল হক ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবীরা।
এ মামলায় জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদ আসামি ছিলেন। তাদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার মারা যাওয়ায় বর্তমানে তাদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় মোট আসামি ছিল ১৩ জন, মারা গেছেন ৪ জন। বর্তমানে এ মামলায় আসামির সংখ্যা ৯ জন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
গত ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম, খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন শাহবাগ থানায়।
২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার পক্ষে।
মামলার বাদী তার অভিযোগে বলেন, সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয় কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ১৯
এমএআর/এএ