মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে- এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটি বড় দল তারা পার্টিসিপেট না করলে ইলেকশনটা পার্টিসিপেটরি এবং ইনক্লুসিভ হল কিনা, সেটা নিয়ে একটু সংশয় থাকে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে যতটা খবর- স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অনেক জায়গায় তারা (বিএনপি) ইলেকশন করবে। এর কোনো প্রভাব প্রতিক্রিয়া আছে বলে মনে করি না। অংশ নিলে ভালো, না এলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব হবে না।
জামায়াত বিএনপিকে ছেড়ে যাওয়ার খবরের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা আমার কাছে মনে হয় না। আদর্শগতভাবে জামায়াত বিএনপিকে ছাড়বে কিংবা বিএনপি জামায়াতকে ছাড়বে-আমার হিসেবে এটা আসে না। যদি তেমন কোনো বিষয় আসে, তাহলে তা কৌশলগত একটা বিষয়।
বিএনপি-জামায়াত কেউ ছাড়বে না কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তাদের চিন্তা-ভাবনা, যে আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে সেখানে তারা খুব কাছাকাছি নয়? অনেক কাছাকাছি। আমি মনে করি দুটোই সাম্প্রদায়িক দল।
ডাকসু নির্বাচনে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল অংশ নিচ্ছে না- এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাদের বলেন, অংশ নেবে না এটা তারা এখনও ঘোষণা দেয়নি। দেখা যাক, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার এখনও তো অনেক সময় বাকি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এই কথাটা বলা যাবে। আপতত দাবি-দাওয়ার প্রশ্নে কিছু কিছু স্ট্যান্ড তো দলগতভাবে থাকতেই পারে।
‘এখানে বিএনপি সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও ইনফ্লুয়েন্স করবে ছাত্রদলের সিদ্ধান্তে। বিএনপিতে একটা টানাপোড়েনও আছে। সেই টানাপোড়েনের কারণে ছাত্রদল কী সিদ্ধান্ত নেবে? আমার মনে হয় তারেক রহমান এখনও যা বলবে ছাত্রদল সেটাই মেনে নেবে,’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি বলছে, ডাকসু নির্বাচনও সরকার এক তরফাভাবে করবে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে তো একতরফা বা ইলেকশনকে ইম্প্যাকটেড করা বা এখানে ইন্টারফেয়ারেন্সের সুযোগটা কোথায়? এখানে কি কেউ কেন্দ্র দখল করবে? এখানে কী সূক্ষ্ম কারচুপির কোনো সুযোগ আছে? কীভাবে হবে? ডাকসুর ইলেকশনে তো প্রকাশ্যে ভোটাভুটি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ