রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিস্ময়ের কথা প্রকাশ করেন।
রিজভী বলেন, সিইসি পরিচালিত নির্বাচনে একমাত্র শেখ হাসিনা ও তার পরিষদই উল্লসিত।
তিনি বলেন, এই সিইসি ভোটারদের প্রতারিত করে অভিনব মিডনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ববাদী একদলীয় রাষ্ট্র কায়েমে সহায়তা করেছেন। যে সিইসি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরে বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল, উপজেলা নির্বাচনও একইভাবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে। ’ তাহলে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। এই নির্বাচনও যে আগের দিন রাতেই অনুষ্ঠিত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
রিজভী অভিযোগ করেন, সমস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে অবলীলায় ৩০ ডিসেম্বর মহাভোট ডাকাতিরই নির্বাচনের পুনরাবৃত্তির ঘোষণা দিলেন উপজেলা নির্বাচনের। কারণ এই সিইসি সরকারকে ভোটারহীনভাবে বিজয়ী করতে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন চান না। সিইসি গণতন্ত্রের কবর দিয়েছেন ২৯ ডিসেম্বর রাতেই। তাই আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি ও লজ্জার ধার ধারছেন না তিনি। সিইসি সঠিক হেদায়েত ও শুভবুদ্ধি থেকে বঞ্চিত এক ব্যক্তি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জার্মানিতে বলেছেন ‘বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল’। মিড নাইট ভোটের সরকারের প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণরূপে গণবিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এখন আতঙ্কে ভুগছেন। ভোট ডাকাতি নিয়ে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যাতে না ঘটে সেটিকে বন্ধ করার জন্য সরকারি যন্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী ঘোষণা করেন, বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আগামী উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত বরখেলাপ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমএইচ/আরআর