বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী দলগতভাবে ক্ষমা চাইলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা, গণহত্যা-অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন করা থেকে দায়মুক্তি পাবে না।
জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের কয়েকজন নেতা পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং আমি মনে করি এই পদত্যাগের ঘোষণা বা তাদের মধ্য থেকে ক্ষমা চাওয়ার যে কথাবার্তা বলা হচ্ছে এগুলো দেশে-বিদেশে চাপমুক্ত হওয়ারই একটি কৌশল মাত্র।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সব দেশ বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলতে বাধ্য হন বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। অথচ বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক দল দেশের এই অগ্রযাত্রাকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে এবং প্রতিনিয়ত দেশের বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্র করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বন্দি গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে এবং মুক্ত চিন্তা মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রগতি তরান্বিত হয়েছে। তিনি এগার লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক নন, মানবতার প্রতীকও।
গোলাম রব্বানী বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেনসহ বইয়ের লেখক সুজন হালদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
পিআর/জেডএস