রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে কেন এ ধরনের পরিবেশে আটকে রেখেছেন? কেন তার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন? আপনাকে এরকম বিস্ফোরণ্মুখ বারুদের মধ্যে বন্দি রাখা হলে কেমন লাগতো? কেন আপনি বিদ্বেষ-বুদ্ধি নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছেন? আপনি এবার প্রতিহিংসার আগুন থেকে নিবৃত্ত হোন।
গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে যে পরিত্যক্ত কারাগারে অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে তার চারপাশে রাসায়নিক বিস্ফোরকের ডিপো। চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানসন থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের দূরত্ব মাত্র দেড় থেকে দুইশ’ মিটার। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতভর আগুনের লেলিহান শিখা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরণ ঘটেছে। আতঙ্কিত মানুষ দ্বিগবিদিক ছুটেছে। চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানসন থেকে আশপাশের আর ৫/৬টি ভবনে যখন আগুন ছড়িয়েছে, দোকানপাট পুড়েছে তখন আতঙ্ক আরও বাড়তে থাকে। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের সড়কেও। আমাদের রাত কেটেছে উৎকণ্ঠায়।
‘সরকার চকবাজার ট্র্যাজেডির দায় এড়াতে পারে না’ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, এ ঘটনার দায় যেহেতু স্বীকার করেছেন এখন পদত্যাগ করুন। স্বচ্ছ ভোট জালিয়াতির সাফল্যের মৌতাতে বুঁদ হয়ে থাকবেন না। দেশবাসীকে দয়া করে রেহাই দিন। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে এই বিভীষিকাময় ঘটনা ঘটলে দায় স্বীকার করে সরকার পদত্যাগ করতো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমএইচ/আরআর