বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ড. মঈন খান বলেন, আজ যে আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে- এতে আমি বিশেষভাবে সন্তুষ্ট। আত্ম-সমালোচনা অবশ্যই আমাদের প্রয়োজন। আমরা ভুল করলে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।
‘তবে বাস্তবতার কথা বলতে গেলে- আমরা রাস্তায় গিয়ে পাঁচ/সাতজন মানুষ কথা বলতে পারি? সেই অবস্থা নেই। এই যে বাস্তবতা, সেটা আমাদের প্রত্যেককেই বুঝতে হবে। ’
তিনি বলেন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও ঊনষত্তরের আন্দোলনের সঙ্গে আজকের আন্দোলনের গুণগত ফারাক থাকতে হবে। যদি সেই ফারাক না থাকে, তাহলে এই আন্দোলন সফল হবে না।
‘হুট করে রাস্তায় নেমে দুটো স্লোগান দিলাম, গুলি খেয়ে প্রাণ হারালাম। তাতে কিছুই হবে না। এই সরকার আমাদের ছাড়বে না। এই সরকারকে কাবু করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। ’
ড. মঈন খান বলেন, আজকের এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় মাত্র একটি। আর তা হচ্ছে- শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এভাবে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে।
‘আর আপনারা যে আন্দোলনের কথা বলছেন, সেই আন্দোলন করতে হবে ঠাণ্ডা মাথায়। বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার ভিত্তিতে। ’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এখন বাংলাদেশের ভ্যালুজ সিস্টেম হচ্ছে- বিত্ত, বৈভব ও সম্পদ। এখানে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই। এখানে দৈনন্দিন কার্যক্রম হচ্ছে খুন আর রাহাজানি।
তিনি বলেন, মানুষকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কেউ চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না, পারবেও না। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কেউ টিকে থাকতে পারেনি।
‘বাঙলার মানুষ বুঝতে পেরেছিল-পাকিস্তানি অবকাঠামোর মধ্যে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থাকতে পারে না। সেই কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। ’
আয়োজক ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এমএইচ/এমএ