শুক্রবার (০১ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ‘আজ স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে এক ব্যক্তির ইতিহাস বানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘নাগরিকদের কোনো মৌলিক অধিকার নেই। আমাদের অধিকার আদায়ে সংঘবদ্ধ হতে হবে। জনগণ এ রাষ্ট্রের মালিক। আমরা নই, সরকার সংকটের মধ্যেই আছে, কারণ তারা বিনাভোটে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে’।
তিনি বলেন, ‘মানুষ অসহায়বোধ করছে, জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। কিন্তু সরকার উল্টো করছে। আমি চিন্তা করে পাই না, কিভাবে একটা ডাকাতি করলো। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের মালিক এদেশের জনগণ। এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক হতে পারে না’।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ আর আজকের আওয়ামী লীগ এক না। তখন আওয়ামী লীগ মানেই ছিল জনতা। আর এখনকার আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ বিপরীত। জনগণের সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের জয় হবেই। তবে সময় লাগবে’।
স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘স্বাধীনতার পতাকার ডিজাইনার সিরাজুল আলম খান। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা আজ ইতিহাসে নেই, ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে রাষ্ট্র লুটপাট করে, তাদের কী অবদান আছে মুক্তিযুদ্ধে? স্বৈরাচারের কোনো লজ্জা থাকে না, জনগণ ঢাকা উত্তরে (মেয়র নির্বাচনে ইঙ্গিত) তাদের থাপ্পড় দিয়েছে’।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ব্যক্তি ইতিহাস তৈরি করে না, জনগণ ইতিহাস তৈরি করে। যিনি স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করলেন, যিনি ইশতেহার পাঠ করলেন, তাদের বাদ দিয়ে ইতিহাস তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান সরকার এক ব্যক্তির ইতিহাস তৈরি করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা করছে আওয়ামী লীগ’।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আমলেও মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। ৭৩ সালে প্রথম ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে আওয়ামী লীগই। আগে বলা হতো ভোট চোর, এখন মানুষ বলে ভোট ডাকাত’।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস ছালাম, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন,
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
টিএম/জেডএস