দণ্ডপ্রাপ্ত চালকের নাম সঞ্জয় মণ্ডল। বুধবার (০৬ মার্চ) বিকেলে গোদাগাড়ীতে নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম এই দণ্ড দেন।
তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের মুরারিপুর এলাকায় তিনটি গাড়িতে করে নৌকা প্রতীকের প্রচার চালানো হচ্ছিলো। ওই সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বদিউজ্জামানের আনারস প্রতীকের পক্ষেও মাইকিং করা হচ্ছিল। নৌকার সমর্থকরা সেই প্রচার মাইক ভেঙে ফেলে। এছাড়া পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি প্রার্থী বদিউজ্জামান তাদের জানান।
এরপর তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তারা নৌকা প্রতীকের ওই তিনটি গাড়িকে খুঁজতে থাকেন।
পরে সন্ধ্যার দিকে কুমরপুর এলাকায় গাড়ি তিনটিকে পাওয়া যায়। এরপর গাড়িগুলো থামানো হলে একটি গাড়ির চালক ছাড়া সবাই পালিয়ে যান।
ওই গাড়িতে পাওয়া যায় লোহার রড, পাইপ ও লাঠিসোটা। এ কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে গাড়ি চালক সঞ্জয় কুমারকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বদিউজ্জামানের দাবি, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তার কর্মীদের মারধর এবং প্রচার মাইক ভাঙচুর করিয়েছেন। পুলিশ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তার গাড়ি বহরের গতিরোধ করলে তিনি পালিয়ে যান।
তবে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে গোগ্রাম এলাকায় তিনি এক পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন তাদের ওপরেই হামলা চালানো হয়।
কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত যে গাড়িবহর আটকান সেখানে তিনি ছিলেন না বলেই দাবি করেন জাহাঙ্গীর আলম।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এসএস/জেডএস