এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। একই সঙ্গে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মামলা গ্রহণ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে যমুনা ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা থেকে টাকা তুলে সুলতানপুর বড় বাজারে যাওয়ার পথে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক ফোন করে জরুরি কথা আছে বলে আমিনুর রহমানকে পশু হাসপাতালের সামনে যেতে বলেন।
আমিনুর রহমান আপনি কে জানতে চাইলে, ‘সাদিক বলেন- আমি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, আমার নম্বর আপনার ফোনে সেভ নেই। যাই হোক আপনি পশু হাসপাতালের সামনে আসেন। সেখানে গেলে সাদিক তাকে বলে আপনি বড় বাজারে ভালো ব্যবসা করেন। অথচ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। কোনো টাকা দেন না। তাই সবাই মিলে আপনার কাছে ৫ লাখ টাকা ধার্য করেছি। আজকে যা পারেন দেন। বাকিটা কাল সাইফুলের (ছাত্রলীগ কর্মী) কাছে দেবেন।
জবাবে আমিনুর রহমান বলেন, আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি এবং নিজেও আওয়ামী লীগের একজন পদধারী ব্যক্তি। সুতরাং কোনো চাঁদা দিতে পারবো না। আর এভাবে চাঁদাবাজি করে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি করবেন না। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সাদিকসহ সেখানে উপস্থিত অন্যরা তুই-তুকারি শুরু করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমাকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তারা ব্যাংক থেকে উঠানো ২ লাখ টাকা কেড়ে নেয় এবং আরও ৩ লাখ টাকা কালকের মধ্যে দিতে বলে হুমকি দেয়। ’
এ সময় সাদিক আমাকে সাবধান করে বলে- ‘এ নিয়ে থানা কোর্ট কাছারি করলে তোর গুষ্টিশুদ্ধ শেষ করে দেব। তাছাড়া এসপি ওসির কাছে মামলা করে লাভ হবে না। কারণ আমার চাচা এমপি আর আমিও বড় নেতা। একপর্যায়ে আমিনুরের চিৎকারে পথচারী লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। ’
এ ব্যাপারে রাতে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এজাহার পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের সঙ্গে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
আরএ