শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব, বিভিন্ন সময় আপনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে না, ধারণ করে কে? কোন লজ্জায় বলেন আপনারা। আপনার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই দেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর যারা কারাগারে আটক ছিলেন, দালাল আইন বাতিল করে তাদের মুক্তি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করেছিল কে? কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল আলিমকে মন্ত্রী বানিয়েছিল কে? কারা স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিষ্ঠা করেছিল? নিষিদ্ধ যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীকে কারা রাজনীতিতে সুযোগ করে দিয়েছিল? কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছিল কে? এগুলো কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন? সেটাই আপনি বিশ্বাস করেন। ’
হানিফ আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব, আপনি নিজেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন এ রকম নজির নেই। আপনার পরিবার সম্পর্কেও আপনার এলাকায় অভিযোগ আছে। আপনার বাবাও স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানে ছিলেন। এখন নিজেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঝাণ্ডা ধরতে চান। আপনিও একজন যুদ্ধাপরাধীর সন্তান। নিজেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে, মুক্তিযোদ্ধার লেবাস ধারণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ডা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সেটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। ’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উদ্দেশে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের কোথাও তাদের ঠাঁই নেই। আমাদের স্বিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিএনপি-জামায়াত আমাদের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। ওই বিএনপি-জামায়াত আজ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দুর্নীতির কারণে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিদেশে পলাতক। এই বিএনপির কোনো ভবিষ্যত নেই। যেভাবে জামায়াত আস্তে আস্তে নিঃশেষ হয়ে গেছে ঠিক সেভাবে বিএনপি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সেই কারণে তারা সুযোগ পেয়ে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করবো বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এরা এসে আমাদের কাঁধে ভর করে, আমাদের মধ্যে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এদের চিহ্নিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠনে ঠাঁই যেন না পায়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাউসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এসকে/আরআর