বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল) জাপার প্যাডে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত এক ‘সাংগঠনিক আদেশে’ এ কথা জানানো হয়।
এর আগে গত ২২ মার্চ (শনিবার) জাপার প্যাডে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত এক ‘সাংগঠনিক আদেশে’ জিএম কাদেরকে দল থেকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সাংগঠনিক আদেশে এরশাদ বলেন, ‘জাপার চেয়ারম্যান, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা এবং পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি জাপার কো-চেয়ারম্যান পদে জিএম কাদেরকে পুনর্বহাল করছি।
কো-চেয়ারম্যান পদে পুনর্বহাল করা হলেও এখনও প্রধান বিরোধী দলের উপনেতার পদে জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদই রয়েছেন।
এদিকে গত ২২ মার্চ (শুক্রবার) রাতে প্রথম ‘সাংগঠনিক আদেশে’ এরশাদ জাপার কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে জিএম কাদেরকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। পরের দিন শনিবার (২৩ মার্চ) কেড়ে নেওয়া হয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার পদ।
ওই আদেশে এরশাদ বলেছিলেন, ‘ইতোপূর্বে আমি জিএম কাদেরকে পার্টির ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেছিলাম এবং আমার অবর্তমানে পার্টির সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু দায়িত্ব পালনে ব্যর্থই হননি, তিনি দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি দায়িত্বে আসার পর থেকে পার্টি আরও ঝিমিয়ে পড়ছে। ’
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে এরশাদ জানিয়েছিলেন, তার অনুপস্থিতিতে ভাই জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। ৪ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন এরশাদ। এরপর ২০ মার্চ তার ৮৯তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালন করা হয়। সেখানে জিএম কাদেরও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এসই/আরআইএস/