জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
আদর্শ নাগরিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতা ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, নুসরাতের হত্যাকারীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগ নেতার কারণেই এই হত্যাকাণ্ডের স্বপক্ষে সভা সমাবেশ হয়েছে সোনাগাজীতে। অধ্যক্ষ সিরাজ ওলামা লীগ নেতা।
‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা এখন বিভিন্ন কথা বলে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা এখন মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কটাক্ষ করছে। দোষ ব্যক্তির, কেনো শিক্ষা ব্যবস্থার না। ’
তিনি বলেন, দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সব আয়োজন করেছে এই সরকার। ব্যাংকগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ১৪টি ব্যাংকের মূলধন এখন তিন আওয়ামী নেতার হাতে।
দেশে আইনের শাসন নেই দাবি করে বিএনপি আমলের সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিচারকেরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। তারেক রহমানকে খালাস দেয়া বিচারককে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। বিচার ব্যবস্থাও একজন ব্যক্তির ইচ্ছার-অনিচ্ছায় হচ্ছে।
‘সাক্ষী প্রমাণ ছাড়াই খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো হয়েছে। এ ধরনের মামলায় জামিন হয়। কিন্তু বিভিন্ন মারপ্যাচে ১৩ মাস তিনি (খালেদা জিয়া) অন্যায়ভাবে কারাগারে। দেশে যে আইনের শাসন নেই এটিই তার উদাহারণ। ’
অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে বিচার বিভাগের চরম অবনতি হয়েছে। জামিন আটকে রাখা হচ্ছে অন্যায়ভাবে। আজকে কারাগারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না। তার মূল চিকিৎসা হচ্ছে তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া। গণতন্ত্র না থাকলে বিচার বিভাগের এই অবনতি ঘটবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নুসরাত হত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি কে? আওয়ামী লীগ নেতার কারণেই নুসরাত মারা গেছে।
‘নুসরাতের জন্য চোখ ভিজে যায়। কিন্তু সরকার অশ্রুর মূল্য দেয় না। যারা ক্ষমতায় আছে তারা আগের বিভিন্ন ঘটনা ধামাচাপা দেয়াতেই নুসরাত হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। তারা আমাদের সরকার নয়। তারা নির্বাচিত নয়। তাদের মানবো না। ’
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর প্রেসক্লাবের সামনে নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
আরএইচএস/এমএ