তিনি বলেন, সূত্রবিহীন এসব খবর সরকারপন্থি কয়েকটি মিডিয়া প্রতিদিন মনগড়াভাবে প্রচার করে যাচ্ছে। এই প্রোপাগান্ডার সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জড়িত বলে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, কয়েকদিন যাবত কিছু মিডিয়া সংবাদ প্রচার করছে খালেদা জিয়া প্যারোলে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। এমনকি তারা তারিখও বলে দিচ্ছেন! কিন্তু বাস্তবতা হলো-বিএনপির কোনো সূত্র এমন কিছুই জানে না।
খালেদা জিয়া প্রচণ্ড অসুস্থ, তা নিয়ে এই মিডিয়াগুলো নীরব উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্যারোল নিয়ে সরকারি মিশন সাকসেসফুল করার জন্য ক্ষমতাসীনরা চতুর রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। হাত-পা নাড়তে পারছেন না। তাকে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। বুধবারও চিকিৎসকরা বলেছেন তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এ অবস্থায় দেশনেত্রী চাচ্ছেন তার পছন্দমতো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু সরকার তার জীবন হুমকির মুখে ফেলে সুদূরপ্রসারী স্বার্থ সিদ্ধির ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেখানকার অন্ধকারের ভোটের এমপি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের সহযোগিতায় মাদরাসার অধ্যক্ষ ওলামালীগ নেতা সিরাজ উদদৌলা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছিল দিনের পর দিন।
‘অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিনের জ্ঞাতসারে পৌর কাউন্সিলর মুকসুদ আলমের টাকায় ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাদত হোসেন শামীম ও ছাত্রলীগ নেতা নুরুদ্দিনের সক্রিয় অংশগ্রহণে সরকারিদলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা প্রভাবশালীরা পরিকল্পিতভাবে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা কতটা বেপরোয়া ও শক্তিশালী যে, খুনির পক্ষে প্রকাশ্যে মিছিল করে হুমকি পর্যন্ত দেয় ‘
সৈয়দপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল আলম এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনারুল ইসলামকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান রিজভী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এমএইচ/এএ