বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত শাহীনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মানুষ জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই।
বিএনপির এ নেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুলিশ প্রশাসন শাহীনের খুনিদের ধরতে ব্যর্থ হলে বগুড়াবাসী বসে থাকবে না। ক্ষুদ্ধ বগুড়াবাসী তখন রাস্তায় নেমে পড়বে যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
বেলা ১১টার দিকে বিএনপির মহাসসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা থেকে বগুড়ায় আসেন। তিনি শহরের ধরমপুরে নিহত বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীনের বাসভবনে যান। সেখানে তিনি নিহতের স্ত্রী আকতার জাহান, দুই ছেলে সায়েম, সিয়াম, মেয়ে সুজনাকে ও পরিবারের সদস্যদের স্বান্তনা দেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, শাহীন ছিলেন একজন জনপ্রিয় নেতা। বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে শাহীন হত্যার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি শুনে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন। নিহত ওই বিএনপি নেতার পরিবারের প্রতি তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এসময় মির্জা ফখরুল নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিএনপি আপনাদের সঙ্গে আছে। হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে- যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস দুলু, জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, বগুড়া পৌর মেয়র আ্যডভোকেট মাহবুবর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন।
শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতারা নিহত অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীনের কবর জিয়ারত করেন। পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুকে দেখতে যান।
রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত ১১ টার দিকে শহরের নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা মাহবুব আলম শাহীনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এমবিএইচ/এসএইচ