শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মওদুদ এ কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদারেরর লেখা ‘খালেদা জিয়া-তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক বইটির এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘শত নাগরিক’ কমিটি।
মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান) সম্মতিক্রমে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নিয়েছি- খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সংসদে যাওয়া নিয়ে কোনো আলোচনায় বসবো না। বিএনপির এমপিদের শপথ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসারও প্রশ্ন আসে না। বিষয়টি এখানেই নিষ্পত্তি হওয়ার প্রয়োজন।
বিএনপির ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সীমাহীন নির্যাতন দলটিকে আরও বেশি শক্তিশালী করেছে দাবি করে মওদুদ বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের এই নির্যাতন-দুর্বিচারের কারণে বিএনপি আগামী শত বছর রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে। আওয়ামী লীগের এই সীমাহীন অত্যাচার আর নির্যাতন বিএনপিকে আরও বেশি শক্তিশালী জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের অন্যতম এ সদস্য বলেন, রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় খালেদা জিয়া আজ কারারুদ্ধ। সরকারের ইচ্ছা থাকলে তিনি আরও আগেই মুক্তি পেতেন। তার সবগুলো মামলা জামিনযোগ্য হলেও আমরা তাকে মুক্ত করতে পারছি না। তারপরও বলতে চাই, তিনি আমাদের মাঝে শিগগির ফিরে আসবেন। তার ফিরে আসার মানেই হলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিদিব শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান ও ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/
** নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের