শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে ১৪ দল আয়োজিত এক অভিভাবক সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।
নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।
‘নিরাপদ সড়কের দাবি, মাদক ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে অভিভাবক সমাবেশ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সবাইকে মাদক পরিহারের আহ্বান জানিয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি নিজে ধূমপান করি না, আমার পরিবারের কেউ করে না। আপনারাও ধূমপান করবেন না। তাহলে সবাই আপনাদের কথা শুনবে, না হলে তো শুনবে না।
এসময় বিএনপিকে সরকারের মাদকবিরোধী ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা।
১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেন, আমরা ১৪ দল মাদক নির্মূল এবং নিরাপদ সড়কের জন্য কাজ করছি। বাংলাদেশ থেকে মাদক নির্মূল, জঙ্গিবাদ দমন ও সড়ক নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত এ সংগ্রাম চলবে। বিএনপির ভাই-বন্ধুদের বলবো, আমাদের সঙ্গে থাকতে, সমর্থন দিতে।
‘নির্বাচনে হেরে গেছেন বলে পালিয়ে যাবেন? কথা বলুন আর এ জন্য সংসদে আসুন। বিএনপির যারা নির্বাচনে জেতেনি তারাই নির্বাচিতদের সংসদে আসতে বাঁধা দিচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মাদক শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়, বরং একটি পরিবার, সমাজ সর্বোপরি একটি দেশকে ধ্বংস করে দেয়। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা এখনও মাদক নির্মূল করতে পারিনি, সড়ক নিরাপদ করতে পারিনি। আজ আমাদের দায়িত্ব সমাজের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মাদক নির্মূলে কাজ করা।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও সংসদে আইন পাসের পরেও আমরা সড়ক নিরাপদ করতে পারিনি। এর জন্য দায়ী আমাদের নীতি-নৈতিকতা ও রাষ্ট্রীয় বিধি-নিষেধের প্রতি অবজ্ঞা-অবহেলা। আমরা নিজেরাও সড়কে চলাফেরার সময় সচেতন থাকি না। ’
আওয়ামী লীগের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবুল মকসুদ, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির সিনিয়র নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এসএইচএস/একে/এমএ