শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের হায়াতপুর-শাহপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি হাত বোমা, বেশকিছু সাংগঠনিক বই-পুস্তক ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- যশোর জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের পূর্ব শাখা প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর কলেজের প্রভাষক ও শিবির নেতা মনিরুল ইসলাম, যশোর মশিউর রহমান আইন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিবির নেতা শামীম হোসেন, কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামের হাবিব হাসান, ভাল্লুকঘর গ্রামের বিল্লাল হোসেন, মির্জানগর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের রাসেল কবির, হানুয়ার গ্রামের এনামুল, খালিয়া গ্রামের আবু মুছা, শ্যামকুড় গ্রামের আহাদ, নোয়ালী গ্রামের সাজিম হোসেন, নেংগুড়াহাট গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত, শাহপুর গ্রামের নাজমুস সাকিব, খেদাপাড়ার গোলাম আযম, গালদা গ্রামের খালিদুর রহমান, পারখাজুরা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, রোহিতার মাহাফুজ, হাজরাকাটি গ্রামের মেহেদী ও বাপ্পি হোসেন, রত্নেশ্বরপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও ইসরাফিল হোসেন এবং মদনপুর গ্রামের মাছুম বিল্লাহ।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এস এম এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেলে ওই মাদ্রাসায় অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ওই ২৩ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। আটকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘বাছাইকৃত সাথী শিক্ষা শিবির ১৯’ চলছিলো। এ ঘটনায় থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় হায়াতপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বাংলানিউজকে বলেন, হায়াতপুর-শাহপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি মূলত স্থানীয় জামায়াত নেতা সহকারী অধ্যাপক সেলিম জাহাঙ্গীর পরিচালনা করেন। বেলা ১১টা থেকেই পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলা থেকে শিবির নেতা-কর্মীরা ওই মাদ্রাসায় জড়ো হতে শুরু করেন। একপর্যায়ে শুরু হয় গোপন বৈঠক।
এদিকে, মণিরামপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা লিয়াকত হোসেন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে বলেন, আসন্ন রমজানের পবিত্রতা নিয়ে করণীয় নির্ধারণে প্রতিবছরই ছাত্র শিবির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার হায়াতপুর-শাহপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আলোচনা সভা চলছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
ইউজি/আরবি/