ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৪৮ বছরেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
৪৮ বছরেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি: ফখরুল বিএফইউজের একাংশের বার্ষিক কাউন্সিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম না থাকলে গণতন্ত্রকে সুষ্ঠু বলা যায় না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও আমরা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারিনি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বহু আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে।

এসব আন্দোলন সংগ্রামে বহু রাজনীতিবিদ হামলা-মামলা-খুন-গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার সব রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। প্রায় সব গণমাধ্যমগুলোর মালিকানা দখল করেছে। বহু সংবাদকর্মী আজ বেকার জীবন-যাপন করছে।

রাজনীতিবিদরা সব সময় খারাপ নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা সব সময় শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য কাজ করেন না। তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন বলেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয়। ইতিহাস তাই বলে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এ সংকট, যা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছে। এটা নতুন নয়, ১৯৭২ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। তখনও তারা এই অবস্থা তৈরি করেছিল। তখন আওয়ামী লীগ থেকে একটা বড় অংশ বেরিয়ে জাসদ গঠন করেছিলে। তখন জাসদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা বাম রাজনীতি করতেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাদেরও হত্যা করা হয়েছিল। তখনও যারা সত্য কথা বলতো তাদের কারাগারে দেওয়া হতো। নির্যাতন করা হয়েছিল।
  
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন বাকশাল চালু করেছিল, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তখন বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর নয় বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খালেদা জিয়া। সেই দেশনেত্রীকে সম্পূর্ণ বেআইনি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ১৪ মাস ধরে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তাকে জামিন পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, সংবাদকর্মী ভাইদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনাদের সমস্যা যেমন আমরা বুঝি, একইভাবে আমাদের সমস্যাগুলোও আপনারা অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন। আপনারা পত্রিকায় দু’লাইন লিখে দিলে আমার সারা জীবনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ইথিকস যেটা বলে, আপনি তার আগে অন্তত একবার আমার সঙ্গে কথা বলবেন। অনেকে কষ্ট করে সেটুকুও করেন না। বোঝার চেষ্টা করেন না। নিজের একটা ধারণা থেকে সেকথা বলে দেন। এটা দলের, রাজনীতির এবং দেশের ক্ষতি করে।  

বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক নেতা এম  এ আজিজ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজ)  সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, নির্যাতিত সাংবাদিক কাফি কামাল, রাশেদুল হক, শাহনেওয়াজ, এহতেশামুল হক শাওন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।