এ অবস্থায় গণফোরাম থেকে বহিষ্কার হওয়া শপথ নেওয়া সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও শোকজ দেওয়া মোকাব্বির খানের বিষয়েও দল ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দলীয় বিভিন্ন সূত্রে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক বাংলানিউজকে বলেন, সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আমাদের দল থেকে নির্বাচিত দুই সদস্যের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা হবে কিনা তা আমি এককভাবে বলতে পারবো না। তবে শিগগিরই দলীয় ফোরামে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মোকাব্বির খান বাংলানিউজকে বলেন, পুরনো ইতিহাস সামনে আনতে চাই না। অতীতে যা হয়েছে সেটা নিয়ে না ভেবে সামনের দিকে যেতে চাই। বিএনপির নির্বাচিতরা শপথ নিয়েছেন এটাকে আমি ইতিবাচক মনে করি।
শপথ নেওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবাই এক হয়ে সংসদে কথা বলবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোকাব্বির বলেন, অবশ্যই। ড. কামাল হোসেন জনগণের জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। আমাদের ঐক্য ঠিক আছে। এক হয়ে জনগণের জন্য কথা বলবো।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত ৭ মার্চ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন গণফোরামের টিকিটে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এরপরই তাকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে গত ২ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেন গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান। গত ২০ এপ্রিল গণফোরামের বৈঠকের পর তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত তাকে বহিষ্কার করা হয়নি।
বিএনপি সংসদে শপথ নেওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, আমি ৭ মার্চ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা যে সঠিক ছিল সেটা বিএনপির সংসদে যোগদানের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো।
ড. কামাল হোসেন ডাকলে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনকে আমি শ্রদ্ধা করি। তিনি একজন মুরব্বি। ডাকলে অবশ্যই যাবো।
জাতীয় সংসদে বিএনপির সদস্যদের সঙ্গে এক হয়ে কথা বলবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার কথা বলবো। জনগণের স্বার্থে কথা বলবো। আমি জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস