ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গ্যাটকো মামলায় খালেদার শুনানি পিছিয়ে ১৪ মে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
গ্যাটকো মামলায় খালেদার শুনানি পিছিয়ে ১৪ মে খালেদা জিয়া/ফাইল ফটো

ঢাকা: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৪ মে ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পুরান ঢাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এদিন তাকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।



শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ অবস্থায় আসামির অনুপস্থিতিতে চার্জ শুনানি করা আইনসম্মত হবে না। এজন্য চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন আইনজীবীরা।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করতে পারেনি। যেহেতু তিনি অসুস্থ আছেন, তাই এ মামলার চার্জ শুনানির জন্য একটি নতুন সময় দেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৪ মে ধার্য করেন।

এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ওইদিন খালেদা জিয়া আদালতে তাকে বসানোর স্থান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা বাতিল চেয়ে রিট করেছিলেন খালেদা। রিটের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী নয়জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর এ মামলায় বর্তমান আসামির সংখ্যা ১৭ জন।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন।

বালাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমএআর/এএ    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।