রোববার (০৫ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ড. রেজা বলেন, জনগণই দেশের মালিক।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দূরাবস্থা, আর্থিক বৈষম্য, পরিবেশ দূষণ, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, শিক্ষার নিম্নমান, সাইবার সিকিউরিটি, বেকারত্ব বৃদ্ধি, কৃষি ক্ষেত্রে হাহাকার, ব্যাংকিং খাতে অরাজকতা, শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্য না দেওয়া, উন্নয়ন সেক্টরে অরাজকতা, হত্য, ধর্ষণ এবং যৌন অপরাধ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া, মাদক ব্যবসা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সমস্যা, ব্যবসায়ীদের হয়রানী এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা ভিত্তিক নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের কাছ থেকে মানুষ আশা করতে পারে শান্তিপূর্ণ, গণমুখী, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, রাজনৈতিক ধারা, যার মূল শক্তি হবে দেশের মানুষের সম্মতি ও সমর্থন। এ বিষয়ে গণফোরামের নীতির কোনো পরিবর্তন নেই। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশ পরিচালনা এবং রাজনৈতিক অবকাঠামোর গুণগতমানের উন্নতি এনে একটি সমৃদ্ধ, বৈষম্যমুক্ত স্বাধীন মানুষের স্বাধীন দেশ গড়া। আমাদের মূল কথা যা ড. কামাল হোসেন বারবার বলছেন, দেশের জনগণ হলো ক্ষমতার উৎস। জনগণকেই এদেশের মালিকানা ফেরত দিতে হবে। এই মূহুর্তে দেশের সাধারণ মানুষ দেশের সরকারকে ভয় পায়। কিন্তু আসলে গণতন্ত্রে সরকারই জনগণকে সমীহ করে চলে। সব থেকে বড় দুঃশ্চিন্তার কারণ হলো দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার বিলুপ্ত হওয়া। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা জনগণকে দিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা থেকে আপনারা সরে গিয়ে অনেক ছোট বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করছেন। আমাদের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, ভোটের অধিকার নেই। পাঁচজন সংসদে গেছে এতে কিছু আসে যায় না। দু’জনের বিষয়ে যদি জানতে চান, প্রথম জনের (সুলতান মনসুর) বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, ব্যাস। ওনাকে আগের কমিটি চিঠি দিয়ে বহিষ্কার করেছে। উনি যদি আবার দলে ফেরত আসতে চান, আসতে পারেন, আবেদন করতে পারেন। কথা বলতে পারেন, এটা উনার ব্যাপার। দ্বিতীয়জনের (মোকাব্বির খান) ব্যাপারে নতুন কমিটিতে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এর বেশি আপনাদের আর কিভাবে বোঝাবো আমি জানি না। ওনাকে (মোকাব্বির খান) আমরা শো-কজ নোটিশ দিয়েছিলাম। তিনি যে উত্তর দিয়েছেন, তাতে আমরা স্যাটিসফাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস