বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব মামলার সাক্ষগ্রহণের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এরআগে আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে তার আইনজীবী সাক্ষগ্রহণের জন্য সময়ের আবেদন করেন।
মামলাটিতে মোট ৭৬ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
২০০৭ সালের ৩ জুলাই মওদুদ আহমদকে তার নিজের, স্ত্রীর ও পোষ্যদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও তার উৎস জানাতে নির্দেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ওই বছরের ২৩ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন তিনি।
মওদুদ আহমদের দাখিল করা সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করাসহ ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন মর্মে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
এরপর ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এরপর ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৪ মে দুদুকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, মওদুদ আহমদ তার দেওয়া হিসাব বিবরণীতে ৪ কোটি ৪০ লাখ ১৮ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৯ কোটি ৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। গত বছরের ২১ জুন মামলাটিতে চার্জ গঠন করেন আদালত।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন দুদুকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, তাকে সহযোগিতা করেন দুদুকের আইনজীবী ফাতেমা খানম নীলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৯
এমএআর/ওএইচ/