তারা বলছেন, নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যে ভেজাল, মাছ-মাংসে বিভিন্ন কেমিক্যাল ও ফরমালিন মিশ্রণ, কেমিক্যাল দিয়ে ফলমূল পাকানোসহ মানব বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড চলমান থাকলেও সমাজের একটি বড় অংশ এখানে নিরব।
শনিবার (১১ মে) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বদলৌতে বর্তমানে দেশের অধিকাংশ মানুষই এখন নকল ও ভেজালের এ সমস্ত খবর পাচ্ছে। তবে খাদ্যে ভেজালকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীরা যেভাবে সংগঠিত ও শক্তিশালী সিন্ডিকেট, সেভাবে ভোক্তারা সংগঠিত নয় বিধায় এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা মানুষকে জিম্মি করে জনগণের পকেট কাটছে। আর ছাত্র ও যুব সমাজকে দেশ ও জাতি গঠনমূলক কাজের পাশাপাশি খাদ্য, পণ্যে নকল, ভেজাল, গ্রাহক হয়রানি, প্রতারণা, নিরাপদ খাদ্য, মাছ-মাংসে ফরমালিন মিশ্রণ এবং কেমিক্যাল দিয়ে ফলমূল পাকানো বন্ধে সামাজিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা গেলে জাতিকে এ মরার দশা থেকে বাঁচানো সম্ভব। তাই এখন সময় এসেছে জেগে উঠার এবং তৃণমূল পর্যায়সহ সব স্তরে অনিরাপদ খাদ্য, ফাস্ট ফুডের নামে জাঙ্ক ফুড, নকল, খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে কঠিন সামাজিক প্রতিরোধ ও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির নীতি নির্ধারণে সরকারের দায়িত্ব ও ভূমিকা অনেক। তাই সরকার ও নীতি নির্ধারকদের এতোটুকু সুদৃষ্টি খাদ্যে ভেজাল ও বিষ-সংস্কৃতির ভয়াবহতা থেকে জনগণকে রক্ষা করতে পারে। কঠোর আইনের মাধ্যমেও তা অনায়াসে করা যায়। খাদ্যে ভেজাল ও বিষ প্রয়োগ হত্যাসম অপরাধ বিধায় এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া সমীচীন। এছাড়া অপরাধের ধরণ অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা জরিমানার বিধান থাকলেও প্রয়োগের নজির নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/