সোমবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন মিলনায়তনে আয়োজিত এক নাগরিক শোকসভায় তিনি এ কথা বলেন। বরেণ্য সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ স্মরণে এ সভায় তার শিক্ষা, রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনের সতীর্থ-সহকর্মীরা অংশ নেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহকে শ্রদ্ধা জানাতে হলে, তার মত ঝুঁকি নিয়ে, সাহস নিয়ে উচিত কথা বলতে হবে। আজকে এখানে সব দলের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, ঐক্যের পক্ষে আমাদের সবার একটা আকর্ষণ আছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের প্রশ্নে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাহফুজ উল্লাহর সঙ্গে আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি যে আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন আমি ভাবিনি। কিছুদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বিএনপির কঠিন সমালোচনা করেন। এই ছিলেন মাহফুজ উল্লাহ। সত্যকে সত্য বলার কঠিন সৎ সাহস এবং গুণ ছিল তার।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, মাহফুজ উল্লাহ আর আমি সবসময় রাজনীতিতে দুই মেরুতে ছিলাম। তিনি ছিলেন পিকিংপন্থি আমি মস্কোপন্থি (বাম রাজনীতিক)। এরপর তিনি বিএনপির দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং আমি আওয়ামী লীগের দিকে। তারপরও আমাদের পরস্পরের সঙ্গে খুব ভালো এবং আন্তরিক সম্পর্ক ছিল।
শোকসভার শুরুতেই মাহফুজ উল্লাহর স্মৃতিচারণ করেন তার বড় ভাই ড. মাহবুব উল্লাহ। মাহফুজ উল্লাহর বড় মেয়ে অঙ্গনা তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, পিএসসির সাবেক সভাপতি ড. সাদাত হোসেন, তত্বাবধায়কের সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল মিন্টু প্রমুখ।
শোকসভায় বক্তারা সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর শিক্ষাজীবন, রাজনৈতিক জীবন এবং সাংবাদিকতা জীবনের নানা বিষয় তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলাদেশের সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ১৩ মে, ২০১৯
আরকেআর/এইচএ/