সোমবার (১৩ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান ২০০ ধারায় মামলাটির বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে, তা খারিজের আদেশ দেন।
আদালত মামলাটির খারিজ আদেশে বলেন, যে দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তারা সংসদ সদস্য।
‘রহমতে আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্টারন্যাশনাল’ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান শরিয়তপুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
বাদীর আইনজীবী মাহবুবুল আলম দুলাল মামলা দায়ের এবং খারিজ করার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য তিনি কওমি শিক্ষাকে ডিগ্রি ও ডিগ্রি উত্তর সমমর্যাদায় উন্নীত করেন। তার এই স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাকে কওমি শিক্ষার মুরব্বি শাহ আহম্মদ শফীর নেতৃত্বে লাখ লাখ আলেম ‘কওমি জননী’ বলে খেতাব দেন। তবে কওমি শিক্ষাকে প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়ার পরই দেশের কিছু লোকের গাত্রদাহ শুরু হয়।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদ থেকে বাদ পড়েন। যে কারণে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে বিভিন্ন উসকানিমূলক মন্তব করেন। যা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এমএআর/টিএ