ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বগুড়ার উপনির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
বগুড়ার উপনির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি

ঢাকা: বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। সোমবার (১৩ মে) ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শরীক দলের নেতাদের ইতিবাচক এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তবে দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে বিএনপি সূত্র জানিয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনে দলের একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলেও সোমবারের বৈঠকে শরীকদের জানানো হয়।

  

সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর জোটের শরীক ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি বাংলানিউজকে বলেন, বৈঠকের শেষ দিকে বিএনপি মহাসচিব আমাদের বলেছেন, একটা বিষয় বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। বগুড়া-৬ আসনে যে উপ-নির্বাচন হবে সেখানে আমরা অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবো। বিষয়টি আপনাদের জানিয়ে রাখলাম।

জোটের অপর দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন বগুড়া-৬ আসনের (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আসন) উপনির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবো।

তবে ভিন্নমত ব্যক্ত করে বৈঠকে উপস্থিত থাকা জোটের শরীক দল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বাংলানিউজকে বলেন, নারী আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলা হলেও বগুড়ার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপির মহাসচিব বিষয়টি আমাদের নজরে এনেছেন। তিনি বলেছেন, সামনে বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন আছে। ওই নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো কিনা সেটা দলীয় সর্বোচ্চ ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। সেই সিদ্ধান্ত আপনাদের পরে জানানো হবে।

জোটের অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির পাঁচ এমপির শপথকে কেন্দ্র করে জোটে যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল সোমবারের বৈঠকের পর তা অনেকটা দূর হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়েছে জোটের শরীক দলগুলোর নেতারা।

সূত্র জানায়, বৈঠকের শুরুতে শরিক দলের নেতারা বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম, শপথ না নেওয়ারও সিদ্ধান্ত ছিল। পরে জোটের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন শপথের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। আবার অন্য এমপিরা শপথ নিলেও মহাসচিব কেন নিলেন না।

জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা কৌশলগত কারণে শপথ নিয়েছি। আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি নিজে শপথ নেইনি। আমি বাইরে থেকে কাজ করতে চাই। আমরা পার্লামেন্টে কথা বলবো, আবার বাইরেও বলবো। পার্লামেন্টে গিয়েই বিএনপির এমপি হারুন-অর রশিদ নির্বাচনকে অবৈধ, সরকারকে অবৈধ বলেছেন। পরে সার্বিক পরিস্থিতিতে বিএনপির ব্যাখ্যায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শরিক দলগুলো। ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তারা। একই সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শরিকদের মতামত নেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আমি মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলে পরে দলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে পারবো।

জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, সরাসরি বলা হয়নি যে বিএনপি বগুড়া নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে বিষয়টি জোটের শরিকদের জানিয়ে রাখা হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, সামনে বগুড়া-৬ উপনির্বাচন ও সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন আছে। এ বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেওয়ায় শূন্য ঘোষিত বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচন আগামী ২৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ৮ মে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এর আগে মির্জা ফখরুল শপথ না নেওয়ায় ৩০ এপ্রিল আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।