মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
হানিফ বলেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন।
আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, তারা এটা ঠিক করতে পারবেন এবং তারা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সংগঠনের কাজ করবেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। সংগঠনে লক্ষ লক্ষ মুজিব আর্দশের সৈনিক আছেন। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর মধ্যে যোগ্য নেতারা সকলে পদ পদবীর প্রত্যাশা করেন। কিন্তু সবাইকে তো আর পদ-পদবি দেওয়া সম্ভব হয় না। সেই সুযোগও হয় না। কারণ পদের সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেমে যায়।
তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই কমিটি হওয়ার পরে সবাই যখন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না তখন কিছু ব্যক্তি হয়ত কিছু পদ-পদবি পায় না। তাদের মধ্যে কিছুটা অসন্তুষ্টি হয়। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এটা প্রায় সব জায়গায় এমন একটা পরিস্থিতি দেখা যায়।
‘এছাড়া অনেকে দেখা গেছে, যে পদ পাওয়া তাদের প্রত্যাশা ছিল, হয়ত বড় পদ পাওয়ার। তারা হয়ত অপেক্ষাকৃত সেই পদ না পেয়ে ছোট পদ পেয়েছে। এই ধরনের দুই একজনের ক্ষোভ থাকতে পারে। ’
হানিফ বলেন, যেহেতু ছাত্রসমাজ তরুণ। তাদের মধ্যে হয়তো ক্ষোভটা কোন সময় একটু বেশি আকারে দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, কৃষি সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/এমএ