নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করতে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
বুধবার (১৫ মে) সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলীর সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পুরনো কারাগারে বন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে নতুন কারাগারে নিতে উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে পুরনো কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তরের বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে তো বারবার বলা হচ্ছিলো যে, খালেদা জিয়াকে পুরনো একটি ভবনে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রাখা হয়েছিল। বিএনপি হরহামেশা…, ঢাকায় পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যখন তাকে রাখা হয়েছিল, যদিও সেখানে রাখার জন্য সেই ভবনকে নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছিল, সেটিকে মর্ডানাইজ করা হয়েছিল, সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এরপরও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিলো একটি পুরনো ভবনে নির্জন কারাগারে তাকে রাখা হচ্ছিলো, যেখানে অন্য কোনো বন্দি নেই।
‘এখন কেরানীগঞ্জের কারাগারে তো অন্যসব বন্দিকে অনেক আগেই সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে নতুন ভবন এবং সেটি একেবারে আধুনিক ভবন, সেখানে সব সুযোগ-সুবিধা আছে। এতে তো বিএনপির খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু দেখলাম যে রিজভী আহমেদ এটি নিয়েও একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এখন কোথায় রাখলে যে তারা খুশি হবে সেটি বুঝতে পারছি না। ’
হাছান মাহমুদ বলেন, যেহেতু পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে, সে কারণে এবং নতুন কারাগারে নতুন ভবন, সেটি অনেক মর্ডান ভবন। যেহেতু এখানে জাদুঘরে রূপান্তরিত করতে হবে সেজন্য এখান থেকে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি এখন আর রেগুলার কারাগার নয়, কেরানীগঞ্জের কারাগারটি রেগুলার কারাগার।
‘আমি মনে করি বিএনপির তো খুশি হওয়ার কথা। যেহেতু তারা বলেছিল পুরনো ভবনে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে, এখন তো নতুন ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সুতরাং বিএনপিরতো খুশি হওয়ার কথা। ’
সরকার হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রচার সম্পাদক বলেন, বিএনপিই অকার্যকর হয়ে গেছে। রাষ্ট্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উঠে এসে এখন মধ্যম আয়ের দেশ, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে প্রায় দুই হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে। গড় আয়ু ৬৭ বছর থেকে ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে, রাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের নেতৃত্বে অকার্যকর হয়ে গেছে। এটিই যদি তিনি বলতেন তাহলে সঠিক বলতেন।
আইসিটি মামলায় কবি হেনরীকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। পুরোপুরি জানি না। পুরোপুরি বিষয়টা না জেনে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
‘আমরা যেটা চাই সেটি হচ্ছে, আইসিটি অ্যাক্টে কারো যেন কোনো হয়রানি না হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস