শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে এ শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
ড. মোশাররফ বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়। মানুষের কোনো শান্তি ও কথা বলার অধিকার নেই। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নেই। সুতরাং একটি দেশে যদি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার না থাকে তাহলে ধর্ম-কর্মের অধিকার কি থাকে? তাই আজকে ধর্ম-কর্মের অধিকারও নাই। কারণ আজকে বাংলাদেশকে ধর্মহীনতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কৃষকরা তাদের ধানের মূল্য পাচ্ছে না। একারণে তাদের পাকা ধান পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এটা আমাদের বাংলাদেশের জন্য খুবই অশুভ সংকেত। আর এটা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু সরকার এটা পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে।
ড. মোশাররফ আরো বলেন, সরকার বলছে ধানের সরকারি মূল্য ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন। অথচ খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল বিদেশ থেকে রপ্তানি করার চেষ্টা করছে। অপরদিকে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে। এখানে আমাদের প্রশ্ন, চাল তো মজুদ আছে। আর যেখানে কৃষক পাকা ধান পুড়িয়ে ফেলছে, সেখানে কৃষকের কাছ থেকে যদি একটু উঁচু দামে ধান কেনা হতো তাহলে তো কৃষক ধান পুড়িয়ে দিতো না।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, গুঞ্জন আছে- বাংলাদেশ থেকে যারা টাকা বিদেশে পাঁচার করে দিতে চাচ্ছেন, তাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চাল আমদানির ঘটনা ঘটছে। সুতরাং ধান মজুদ থাকার পরও কেনো চাল আমদানি করা হচ্ছে? কারণ, এখানে টাকা পাচারের ষড়যন্ত্র আছে। আর যারা এটা করছে, তারা বর্তমান সরকারের ব্যবসায়ী, খোঁজ নিয়ে দেখেন।
বিএনপির সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গোমেজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অমলেন্দু বিকাশ অপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে কৌন্ডান্য ভিক্ষু, মৈত্রী বৌদ্দ বিহার, পঞাবংশ ভিক্ষু, চাকমা রাজারাজ বিহার, সুভাষ চন্দ্র চাকমা, প্রধান চন্দ্র চাকসাসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ