সোমবার (২৭ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে বিনা চিকিৎসায় হত্যার ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে রিজভী বলেন, বিএসএমএমইউ হাসপাতালে তো চিকিৎসার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিই নেই।
‘তারা কারাবন্দি থাকাবস্থায় স্কয়ার ও ল্যাবএইডে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল কেন? আমি তথ্যমন্ত্রীকে বলবো-আপনি রোজা-রমজানের দিনেও স্বভাবগত মিথ্যাচার পরিত্যাগ করতে পারেননি। দেশনেত্রীর সর্বোচ্চ কেন, তিনি ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও পাচ্ছেন না। ’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, তামাশা করছেন। তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য একটি বেপরোয়া, বেআইনি, মধ্যযুগীয় ও জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোবাতাসহীন এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন কথা।
মিথ্যা ও সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, তার (খালেদা জিয়া) জামিনে বাধা সৃষ্টি করেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের স্বস্তি মিলছে না। কারণ গণতন্ত্রকে সংকটাপন্ন রেখে স্বস্তি পাওয়া যায় না।
চারদিকে লুটপাটের মহোৎসব চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সমাজের সর্বত্র বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। আইনের শাসন না থাকায় মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। দেশের কোটি কোটি কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠী হতাশায় নিমজ্জিত। লোকসানের কবলে পড়ে এখন তারা প্রায় সর্বশান্ত।
তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসেও মানুষের জীবনে সামান্য স্বস্তি নেই। রাষ্ট্র কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আওয়ামী লীগ তাদের পুরনো ঐতিহ্যের মাধ্যমে দেশ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ায় মানুষ তাদের থেকে অনেক আগেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই বেগম জিয়া সরকারের প্রতিহিংসায় কারাবন্দি থাকলেও এখনও তিনি দেশের মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তার আপোষহীন মনোভাব সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তাইতো আওয়ামী নেতাদের এত জ্বালা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এমএইচ/এমএ