মঙ্গলবার (২ মে) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই।
রেজা কিবরিয়া বলেন, সরকার ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে। যে কারণে সরকারের উপর জনগণের আস্থা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গণফোরাম বিপুলভাবে বিজয় লাভ করে ক্ষমতায় যাবে।
‘আমরা চাই দেশের ভালো হোক। দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ভালো থাকি। অথচ বর্তমানে মানুষের মধ্যে ভয়, দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে। মানুষ ভয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না। অপরাধ, অনিয়ম দেখলেও আতঙ্কে কথা বলে না। ’
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই। তাই সাংগঠনিকভাবে দলকে গোছাচ্ছি। প্রত্যেক জেলায়ই গণফোরামের অবস্থান ভালো হবে।
রাজনীতিতে বিএনপিকেও সঙ্গে রাখছেন তারা। তবে জামায়াত দেশে উন্নয়ন ও পরিবর্তন আনার মতো কোনো ক্ষমতা রাখে না। তাই জামায়াত রাখা গুরুত্বপূর্ণ নয়। জানান তিনি।
সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানকে দল থেকে বরখাস্তের পর প্রেসিডিয়াম সদস্য করার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি দলের তালিকাভুক্ত প্রার্থী ছিলেন না। তিনি পরে বাইরে থেকে এসে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আর প্যাড চুরির অভিযোগও সত্য নয়।
তিনি বলেন, আমার বাবা যে দলের রাজনীতি করেছেন, বাবার আদর্শের সে দল এখন নেই। বাবার দলে নেই, তাই বলে আমার বাবার নিরপেক্ষ নীতি থেকে সরে আসিনি। বরং আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পথ থেকে সরে গেছে।
গণফোরাম সরকারের লবিস্ট কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ড. কামাল ৮৩ বছর বয়সে এসে এমন করবেন, এটা কখনো আমার মনে হয় না।
বাবার বিচারে আদালতমুখী না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বিচার করতে পারেনি। আর আসল খুনিদের বাদ দিয়ে মিথ্যা তদন্তে আমার বাবা হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ওই চার্জশিট মেনে নিতে আমাদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। যেদিন চার্জশিটে সত্য বেরিয়ে আসবে, মূল আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে, সেদিন মামলা লড়তে আদালতমুখী হবো।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, গণফোরামের মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট আনছার খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়:২০০৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
এনইউ/এএ