শুক্রবার (৩১ মে) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা আন্দোলন-সংগ্রাম ঘোষণা করছেন না’- এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আজকে এখানে অনেকের উপদেশমূলক বক্তব্য শুনলাম, ভালো লাগলো।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা একটি রুমের মধ্যে আজকের আলোচনা সভা আয়োজন করলেন। এই আলোচনা সভা বদ্ধ কক্ষের মধ্যে না করে রাস্তায় করতেন, আমাকেও ডাকতেন, খুশি হতাম। কক্ষের ভেতরে স্ববিরোধী কথা বলে হাততালি পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা অনেক ভিন্ন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সমন্ধে আমাদের কিছু বলার অধিকার নেই। জিয়াউর রহমানকে ভালোমতো চিনলে আমাদের অপরিচিত মনে হবে। ভোগবাদীতা যখন বেশি হয়, তখন ভোগান্তিও বেশি হয়। আর এই ভোগবাদীতা যখন রাজনীতিবিদদের মধ্যে দেখা যায়, তখন এর মূল্য জনগণকে দিতে হয়। বিএনপিতে যে খারাপ লোক নেই তা নয়। কিন্তু খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িতদের আমরা কেনো দূর করতে পারিনা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান দুরাবস্থা শুধু বিএনপিরই দুরাবস্থা নয়, দেশ ও জনগণেরও দুরাবস্থা। এই দুরাবস্থার বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠবে। জনগণের সেই জেগে ওঠায় বিএনপি থাকতে পারবে কিনা সেটা ভিন্ন বিষয়। জনগণ যদি বুঝতে পারে বিএনপি তাদের সঙ্গে আছে, তাহলে জনগণও বিএনপির সঙ্গে থাকবে। তা নাহলে থাকবে না। তাই আমাদের মানসিক ও আদর্শিক প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া শুধু বক্তৃতায় রক্ত দিয়ে লাভ হবে না। আগে রেড ক্রিসেন্টে গিয়ে রক্ত দেওয়ার চর্চা করেন। তারপর রাজপথে রক্ত দিয়েন।
তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল কবির খোকন ও প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন ইসলাম খান বক্তব্য দেন। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন- তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন রহমান, কাজী মনির ও সাইফুল ইসলাম মনি প্রমুখ।
বাংলাদেশের সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৯
আরকেআর/এসএ