শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্র্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরুর পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
এর আগে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো হলরুম।
এরই এক পর্যায়ে মোহাম্মদ নাসিম অনুষ্ঠান শুরুর আগেই মাইক হাতে তুলে নিয়ে যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে হচ্ছে এখানে এসে ভুল করেছি। এখানে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমরা ছোট হয়ে যাচ্ছি। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, জীবেন অনেক সম্মেলন দেখেছি ও করেছি। কিন্তু এমন সম্মেলন আমার জীবনে কখনো দেখিনি।
এরপর সম্মেলনের বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমি লজ্জিত।
এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। জেলা যুবলীগের সভাপতি মঈন উদ্দিন খান চিনুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ। তবে মূর্হমূর্হ স্লোগানের কারণে বক্তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। বক্তব্যের বেশিরভাগ সময়ই নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানাতে কেটে যায়। এছাড়াও জেলার তিনজন সংসদ সদস্য ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকলেও তারা এমন পরিস্থিতি কারণে বক্তব্য দিতে পারেননি।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসন আর কোনো দিন দেশে ফিরে আসবে না। বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে, তাই আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা সবাই বিএনপি জামায়াতের শাসন আমল দেখেছি। তাই দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন আর দেখতে চায় না। কোনো রকম ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আমাদের ভাগ্য ভালো শেখ হাসিনার মতো নেতা পেয়েছি। অপরদিকে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা নেতাকে চিনতে পারি নাই। এখানে কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম রয়েছেন। তিনি শুধু আপনাদের নেতা না, তিনি জাতীয় নেতা। আমি কারো লোক চিনি না। ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হবে। যুবলীগের কেউ নেতা হবেন না- হবেন ম্যানেজার। আর নেতা হবেন আওয়ামী লীগ থেকে।
এভাবে বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। পরে বিকেল তিনটায় একই স্থানে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
এসএইচ