সোমবার (২৪ জুন) রাতে কমিটির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক জেলার প্রতিটি থেকে পাঁচ জন করে ভোটার করা হয়েছে।
সোমবার খায়রুল কবির খোকনসহ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সাত সদস্য বসে এ খসড়া তালিকা নির্ধারণ করে তা প্রকাশ করেন।
আগামী ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট হবে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সাত দফা আচরণবিধিও প্রণয়ন করেছে।
নির্বাচনে কোনো প্যানেল হবে না। প্রার্থীরা এককভাবে ভোটে অংশ নেবেন। পোস্টার, ব্যানার ও গণমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। প্রার্থীরা সভা-সমাবেশ, আপ্যায়ন ও কোনো ধরনের উপহারসামগ্রী দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার, সংবাদ সম্মেলন ও টকশোতেও অংশ নিতে পারবেন না প্রার্থীরা।
ভোটের প্রচারের জন্য প্রার্থীরা ভিজিটিং কার্ড বা সাদা-কালো লিফলেট ব্যবহার করতে পারবেন।
নির্বাচনের দিন প্রার্থী বা তার সমর্থকরা কোনো মিছিল, সমাবেশ, প্ল্যাকার্ড, ভিজিটিং কার্ড বা লিফলেট বিতরণ করে ভোট চাইতে পারবেন না। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তার প্রার্থিতা বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।
গত ৩ জুন বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেয়। এরপর, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
সবশেষ ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর। ওই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আকরামুল হাসানকে নির্বাচিত করা হয়।
রাজীব-আকরামের নেতৃত্বে ১৫৩ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠনের দীর্ঘদিন পরে সেটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। এতে মোট ৭৩৬ জনকে পদ দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘন্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এমএইচ/একে