রোববার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে শ্রমিক দলের মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে সংসদে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে মনোনয়ন বাণিজ্যটা করেছে, সেই টাকাগুলো কোথায় রেখেছে- খোঁজ নিলেই সুইস ব্যাংকের হিসাবটা মিলে যাবে।
এ বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নজরুল ইসলাম খান, আপনি সাধারণ জিনিস ভুলে যান। আপনি বলবেন, আর মানুষ সেটা বিশ্বাস করবে? কিন্তু বর্তমান অর্থবছরে (২০১৮-১৯) কতো টাকা পাচার হয়েছে সেই রিপোর্টতো এখনো প্রকাশ হয়নি। আর যে টাকা পাচারের রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে, সেটা কোন মনোনয়ন বাণিজ্যের টাকা? সেই রিপোর্ট আপনারা প্রকাশ করছেন না কেনো?
সরকারপ্রধানকে প্রশ্ন করে বিএনপির এ নেতা বলেন, গত ১০ বছরে ৪০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব কাদের টাকা? জনগণ ও বাংলাদেশের টাকা। এই টাকা কারা পাচার করলো? সে বিষয়েতো আপনি কোনো খোঁজ নিচ্ছেন না। আর আপনি ভয়ঙ্কর একটি রিপোর্ট দিলেন! ৩০০ আসনে মনোনয়ন বাণিজ্য করলে কতো টাকা পাওয়া যেতে পারে?
সংসদ ভবনের পাশে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে সরকারকে না ‘খেলার’ হুঁশিয়ারি দিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদ ভবনের নকশায় জিয়াউর রহমানের কবর নেই জানিয়ে তা সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার কথা বলেছেন। বীর উত্তম ‘শহীদ’ জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে খেলবেন না। দেশের মানুষ তাকে কেমন ভালোবাসে, তা তার মৃত্যুর পর জানাজায় দেখেননি? কবর সরানোর চেষ্টা হলে সাধারণ মানুষ অবস্থান নেবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এ নেতা বলেন, মোজাম্মেল সাহেবদের কাছে পাকিস্তানের করা নকশা এতো পছন্দ হয়ে গেছে কেন? পাকিস্তানের করা ডিজাইন বাস্তবায়নের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে দিতে হবে? আপনাদেরতো পাকিস্তানকে এতো ভালোবাসার কথা নয়।
তিনি বলেন, বগুড়ার-৬ (সদর) আসনে উপ-নির্বাচনের জয় নিয়ে আমরা অবাক হইনি। কারণ ওই আসনে বিএনপির যিনিই নির্বাচন করেছেন তিনিই নির্বাচিত হয়েছেন, এটাই স্বাভাবিক।
দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আন্দোলন বন্ধ করা যায় না, তা আপনারা ভালো করেই জানেন। ৬ দফার পরে বহু নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু ’৭০ এর নির্বাচনে কি আপনাদের হারাতে পেরেছে? আজও একটি নির্বাচন দিয়ে দেখুন না, কীভাবে আপনারা বিএনপির কাছে হেরে যান দেখবেন।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান সরোয়ার, শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শ্রমিক নেতা হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এমএইচ/এইচএডি/এইচএ/