ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিব হিসেবে পারফরম্যান্সে ব্যর্থ ফখরুল: কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
বিএনপির মহাসচিব হিসেবে পারফরম্যান্সে ব্যর্থ ফখরুল: কাদের

ঢাকা: ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন কারচুপি ও জালিয়াতি মুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে কারচুপির কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু ফখরুল সাহেব কেন এত ক্ষেপে গেলেন আমি জানি না।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরপ্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নাগরিক সেবা বিষয়ক সভা শেষে তিনি একথা বলেন।  

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন এই নির্বাচন যেন বাতিল করা হয়। নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা নেই- বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব হিসেবে পারফরম্যান্সের ব্যর্থতাই তার এসব কথা বলার কারণ। তিনি তো কোনো সাফল্য দেখাতে পারেননি। আমি মনে করি বিএনপি বর্তমানে যে অবস্থায় আছে সে অনুযায়ী তারা যে ভোট পেয়েছে শতাংশের দিক থেকে অনেক ভালো করেছে। এটা আমি অবশ্যই বলবো, স্বীকারও করবো। তবে এই নির্বাচন কারচুপিযুক্ত বা জালিয়াতি হয়েছে বলে আমার কাছে তার প্রমাণ মনে হয় পর্যবেক্ষরাও দিতে পারেননি।  

‘আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বড় দাগের সংঘাতও হয়। কিন্তু এবার বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচান ছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। নির্বাচন ছিল কারচুপি, জালিয়াতি মুক্ত। কারচুপির কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু ফখরুল সাহেব কেন এত ক্ষেপে গেলেন আমি জানি না। ’

তিনি বলেন, কোথাও কোথাও ইভিএম মেশিনে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এ মেশিনে কারচুপি করা কারো পক্ষে সম্ভব না। এই মেশিনে জালিয়াতি করার কোনো সুযোগ নেই। আসলে ইভিএম করা হয়েছে জালিয়াতি ও কারচুপিমুক্ত নির্বাচন করার জন্য। এটা তাদের কেন পছন্দ হয় না আমি সেটা জানি না।

নির্বাচনের আগে বিএনপি ভোট কেন্দ্রে ৫শ সন্ত্রাসী ও ঢাকার বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে জড়ো করবে এমন আশঙ্কা করেছিলেন এমনে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি অবাক হচ্ছি নির্বাচনের দিনতো তাদের লোকই দেখলাম না। তাদের যথেষ্ট লোক এসেছিল মেয়রপ্রার্থীদের বড় বড় মিছিল হয়েছিল। তারা এত লোক নিয়ে মিছিল করলো সে লোকগুলো ভোটের দিন গেলো কোথায়।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরা বলেছেন ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, যেভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল এই নির্বাচনে বিদ্রোহীদের জয়জয়কার সে অবস্থা কিন্তু হয়নি। আমাদের হিসাবে ১৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বিদ্রোহীরা যে সুবিধা করতে পেরেছেন তা কিন্তু নয়। আমরা দল থেকে যাদের মনোনয়ন দিয়েছি বেশির ভাগ তারাই কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। হেরে গেলে কতজন কত কথা বলে। চিন্তা করতো গেলে অনেক কিছুই ভাবতে হবে। যিনি হেরে যান তিনি কি হার মেনে নেন। বিএনপিও মানছে না। যারা হেরে গেছেন তারা কেউই মানছেন না।  

তাবিথ আউয়াল বলেছেন ফলাফল তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পরিকল্পনা করে ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারনণ সম্পাদক বলেন, তারাতো জিততে না পারলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবে। প্রত্যাখ্যান করে জনগণের প্রতিফলনটা তারা দেখতে চেয়েছে হরতাল ডেকে। ঢাকা সিটিতে কেউ কোথাও হারতাল দেখেনি। তার মানে হচ্ছে তারা যে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ তাদের নির্বাচন প্রত্যাখ্যানকে প্রত্যাখ্যান করেছে।  

মির্জা ফখরুল বলেছেন সরকার একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়- এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে কাদের বলেন, এই যে নির্বাচনটা হলো এটা কি একনায়ক তন্ত্রের প্রমাণ। আমাদের গণতন্ত্র সঠিক। গণতন্ত্র প্রতিনিয়তই বিকাশমান। আমরা বলবো না আমরা সঠিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। অনেক উন্নত দেশও সঠিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে দাবি করতে পারবে না। গণতন্ত্র হলো ক্রম বিকাশমান প্রক্রিয়া। আমরা সেই বিকাশধারার মধ্যে আছি।  

ঐক্যফ্রন্ট আবার মাঠে নামতে চায় এ নিয়ে কী ভাবেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এইটুকু বুঝি এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এতে জনমতের যে প্রতিফলন তাতে আমার মনে হয় সামনের দিনগুলো বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামোতে থাকলে তারা আরো হতাশায় ভুগবে।  

**চীনারা ছুটি বাড়ালে পদ্মাসেতুর অগ্রগতিতে সমস্যা হতে পারে
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।