ঢাকা: অসুস্থতার দোহাই দিয়ে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাকে দেশে আসতে কেউ বাধা দেয়নি বা তার জামিন বাতিলেরও কোনো আবেদন করা হয়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে তারেক রহমানকে দেশে আসতে না দেওয়াসংক্রান্ত বিএনপির অভিযোগের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তারেক রহমানকে সরকার দেশে আসতে দিচ্ছে না, তাকে নির্বাসনে রাখা হয়েছে- বিএনপি নেতাদের এ বক্তব্য ডাহা মিথ্যাচার। তবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অধিকতর তদন্তে তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বা যারাই জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না। ’
তিনি বলেন, ‘তারেক স্বচ্ছ তদন্ত ও বিচারকে ভয় পান বলেই চিকিৎসার অজুহাতে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষদিকে তারেক রহমান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। আইনের ৫৪০ ধারা অনুযায়ী অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে কেউ সশরীরে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি নিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারেন। তারেক রহমানও আবেদন করে আদালত থেকে এমন অনুমতি নিয়ে বিদেশে রয়েছেন। তবে এ সুবিধা অনির্দিষ্টকাল কেউ ভোগ করতে পারে না। ’
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর প্যারোলে বিদেশে থাকা বিষয়য়েও মন্তব্য করেন কামরুল।
তিনি বলেন, ‘এটাও অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। তবে আইনে সবার জন্য যেটা প্রযোজ্য সেটা তিনি পাবেন। ’
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না- প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আদালতের ব্যাপার। আদালত মনে করলে যে কোনো সময় তার জামিন বাতিল করতে পারেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১০